চিকেনে মারাত্মক বিষ, পোলট্রিতে ভয়ঙ্কর ইনজেকশনের খবর মিলল তদন্তে
তুলনামূলক সস্তার আমিষ খাবার চিকেন বাঙালির এবেলা, ওবেলার খাবার। কিন্তু যে খবর প্রকাশ্যে এসেছে তা পড়লে রাতের ঘুম ছুটে যাবে।
মুরগির মাংসে ভয়। — নিজস্ব ফাইল চিত্র
ভারতে পোলট্রির মুরগি মারাত্মক বিপজ্জনক। এমনই খবর প্রকাশ করল এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। সেই খবরে জানানো হয়েছে কতটা বিপদ রয়েছে মুরগির মাংসে। তুলনামূলক সস্তার আমিষ খাবার চিকেন বাঙালির এবেলা, ওবেলার খাবার। কিন্তু যে খবর প্রকাশ্যে এসেছে তা পড়লে রাতের ঘুম ছুটে যাবে।
ওই খবর বলছে মুরগিকে নিরোগ রাখতে কড়া অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে মুরগির মড়ক যেমন রোধ করা যায় তেমনই মুরগির স্বাস্থ্যও ভাল হয়। ওজনে বাড়ে। ফলে মুরগি চাষ লাভজনক হয়। কিন্তু মুরগির শরীরে যে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হচ্ছে তা মানবদেহের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।
খবরে বলা হয়েছে, ‘কলিস্টি’ নামে ওই অ্যান্টিবায়োটিক বিপুল পরিমাণে ভারতে আমদানি করা হচ্ছে। আর তা চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পোলট্রি ফার্মে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই সংক্রান্ত পরামর্শদাতা অধ্যাপক ওয়ালশকে উদ্ধৃত করে ওই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘কলিস্টিন’ এমন একটা অ্যান্টিবায়োটিক যা চিকিৎসার ক্ষেত্রে একেবারে চরম পর্যায়ে ব্যবহার করা হয়। মারাত্মক অসুস্থ ব্যক্তিকে সুস্থ করার শেষ চেষ্টা করা হয়
এই ওষুধের মাধ্যমে। মারাত্মক কোনও ইনফেকশন বা নিউমোনিয়া হলে তবেই শেষ আশা হিসেবে ‘কলিস্টিন’ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন চিকিৎসকরা। এই ওষুধ কোনও পশুপাখির ক্ষেত্রে ব্যবহার করাও নিষিদ্ধ।
এই ওষুধের মাধ্যমে। মারাত্মক কোনও ইনফেকশন বা নিউমোনিয়া হলে তবেই শেষ আশা হিসেবে ‘কলিস্টিন’ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন চিকিৎসকরা। এই ওষুধ কোনও পশুপাখির ক্ষেত্রে ব্যবহার করাও নিষিদ্ধ।
ওই খবরে বলা হয়েছে, ভারতে কমপক্ষে পাঁচটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা পশুপাখির ওজন বাড়ানোর ওষুধ হিসেবে ‘কলিস্টিন’ ব্যবহারের প্রচার করে। আর তার ফলেই দেশে ব্যপক হারে এই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার চলছে পোলট্রি ফার্মে।
‘কলিস্টিন’ যেহেতু একেবারে শেষ পর্যায়ে ব্যবহার করার অ্যান্টিবায়োটিক, তাই এই ওষুধ মানবদেহে ঢুকলে শরীরে অন্য ওষুধ কাজ করে না। চিকিৎসাশাস্ত্র অনুসারে মানব শরীর ‘ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট’ হয়ে যায়। আর মুরগির মাংসের মধ্য দিয়ে সেই বিষই প্রতিদিন ঢুকছে শরীরে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ অনেক আগেই বলেছে বিশ্বে ‘ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট’ একটা বড় সমস্যা। এর জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। ‘কলিস্টিন’-এর মতো মানব শরীরের জন্য ব্যবহৃত কড়া অ্যন্টিবায়োটিক পশুপাখির ক্ষেত্রে ব্যাবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও।
Post a Comment