ঠান্ডা জলে চাল দিলেই হবে
ভাত, এরাজ্যে বাড়ছে কোমল
ধান চাষ, দাবি কৃষিদপ্তরের
সুখেন্দু পাল, আসানসোল, বিএনএ: আর ভাত রান্নার জন্য গ্যাস বা কয়লার আঁচের প্রয়োজন নেই। এবার থেকে ঠান্ডা জলে চাল ভিজিয়ে রাখলেই হবে ভাত। কোমল নামে এক প্রকার ধান থেকে এরকমই চাল তৈরি হয়। এরাজ্যেও এই ধানের চাষ বাড়ছে বলে কৃষি দপ্তরের দাবি। ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এরাজ্যের নদীয়ার ফুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরে এই ধান চাষ হয়েছে। বীরভূমের সিউড়ি এবং রামপুরহাট ব্লকেও কোমল চাষের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমাদের রাজ্যে এখন বিভিন্ন প্রজাতির ধান চাষ শুরু হয়েছে। সুগন্ধি ধান চাষ করে চাষিরা লাভবানও হচ্ছেন। গোবিন্দভোগ চালে ইতিমধ্যে আমরা জিআই পেয়েছি। রাঁধুনি পাগল নামে আরেক ধরনের ধান চাষ হচ্ছে সেটাও খুব সুস্বাদু। তবে, কোমল ধান একটু অন্য রকমের। এই ধান থেকে তৈরি চাল জল ফুটিয়ে রান্না করার দরকার নেই। ঠান্ডা জলে আধঘণ্টা চাল ভিজিয়ে রাখলেই ভাত হয়ে যাবে। এই ধান চাষে যাতে চাষিরা আগ্রহ দেখায় তারজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধান মূলত অসমের কিছু অংশে চাষ হয়। কোমলের প্রথম ফলন দেখা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের ব-দ্বীপে। এই ধান আবার তিন-চার প্রজাতির হয়। তারমধ্যে এরাজ্যে অঘনী বোড়া এবং মাগুরি নামে দুটি প্রজাতির চাষ হচ্ছে। নদীয়ার ফুলিয়ার কৃষি আধিকারিক অনুপম পাল বলেন, আমরা প্রায় ৪৩০ রকম ধান সংরক্ষণ করে রেখেছি। কোমল ধান অসমে চাষ হয়। আমরা এই ধান বেশ কয়েক বছর ধরে সংরক্ষণ করছি। অনেকেই বীজ নিয়ে গিয়ে চাষ করছেন। অন্যান্য ধানের মতোই একই পদ্ধতিতে কোমল ধান চাষ করা যায়। বর্ষাকালে এই ধান চাষ করতে হয়। ধান সিদ্ধ করে চাল তৈরি করতে হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চাষি গোকুল মহাপাত্র বলেন, ফুলিয়া থেকে ধান বীজ এনে এবারই প্রথম এই ধান চাষ করেছি। জৈব সার দিয়েই এই ধান চাষ হয়েছে। পোকার আক্রমণও তেমন দেখা যায়নি। তবে স্বর্ণ বা অন্যান্য দেশীয় ধানের মতো বেশি ফলন হয় না। সাত ডেসিমেল জমিতে ৫০ কেজি ধান হবে বলে আশা করছি। এবছর পরীক্ষামূলকভাবে ধান চাষ করেছি। সামনের বছর আরও বেশি করে ধান চাষ করব। ফলন কম হলেও অন্য রকম স্বাদ তো পাব।
এক কৃষি আধিকারিক বলেন, ব্যস্ত জীবনে এই চাল সব বাড়িতেই খুব কাজে লাগবে। কাজে বেরনোর আগে আধ ঘণ্টা চাল ভিজিয়ে রাখলে তা খেয়ে বেরনো যাবে। তরকারি মাখিয়েও এই ভাত খাওয়া যায়। কিন্তু, এই চালের ভাত টক দই ও গুড় মাখিয়ে খেলেই বেশি স্বাদ পাওয়া যাবে। এই চাল বাড়িতে থাকলে খাওয়ার জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে না। কৃষিমন্ত্রী বলেন, যে কেউ জলে এই চাল ভিজিয়ে রেখে তা খেয়ে বেরিয়ে যেতে পারবেন।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধান মূলত অসমের কিছু অংশে চাষ হয়। কোমলের প্রথম ফলন দেখা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের ব-দ্বীপে। এই ধান আবার তিন-চার প্রজাতির হয়। তারমধ্যে এরাজ্যে অঘনী বোড়া এবং মাগুরি নামে দুটি প্রজাতির চাষ হচ্ছে। নদীয়ার ফুলিয়ার কৃষি আধিকারিক অনুপম পাল বলেন, আমরা প্রায় ৪৩০ রকম ধান সংরক্ষণ করে রেখেছি। কোমল ধান অসমে চাষ হয়। আমরা এই ধান বেশ কয়েক বছর ধরে সংরক্ষণ করছি। অনেকেই বীজ নিয়ে গিয়ে চাষ করছেন। অন্যান্য ধানের মতোই একই পদ্ধতিতে কোমল ধান চাষ করা যায়। বর্ষাকালে এই ধান চাষ করতে হয়। ধান সিদ্ধ করে চাল তৈরি করতে হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চাষি গোকুল মহাপাত্র বলেন, ফুলিয়া থেকে ধান বীজ এনে এবারই প্রথম এই ধান চাষ করেছি। জৈব সার দিয়েই এই ধান চাষ হয়েছে। পোকার আক্রমণও তেমন দেখা যায়নি। তবে স্বর্ণ বা অন্যান্য দেশীয় ধানের মতো বেশি ফলন হয় না। সাত ডেসিমেল জমিতে ৫০ কেজি ধান হবে বলে আশা করছি। এবছর পরীক্ষামূলকভাবে ধান চাষ করেছি। সামনের বছর আরও বেশি করে ধান চাষ করব। ফলন কম হলেও অন্য রকম স্বাদ তো পাব।
এক কৃষি আধিকারিক বলেন, ব্যস্ত জীবনে এই চাল সব বাড়িতেই খুব কাজে লাগবে। কাজে বেরনোর আগে আধ ঘণ্টা চাল ভিজিয়ে রাখলে তা খেয়ে বেরনো যাবে। তরকারি মাখিয়েও এই ভাত খাওয়া যায়। কিন্তু, এই চালের ভাত টক দই ও গুড় মাখিয়ে খেলেই বেশি স্বাদ পাওয়া যাবে। এই চাল বাড়িতে থাকলে খাওয়ার জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে না। কৃষিমন্ত্রী বলেন, যে কেউ জলে এই চাল ভিজিয়ে রেখে তা খেয়ে বেরিয়ে যেতে পারবেন।
Post a Comment