ডাকঘরে মেয়াদোত্তীর্ণ টাকা বা সুদ যাবে সেভিংস অ্যাকাউন্টে
চেকে আর নয়, কার্যকর ১৬ জানুয়ারি থেকে
বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরি, কলকাতা: এক মাস পর পোস্ট অফিস থেকে স্বল্প সঞ্চয়ের মেয়াদ উত্তীর্ণ বা ম্যাচুরিটি’র টাকা আর চেকে তোলা যাবে না। গ্রাহকের যদি পোস্ট অফিসে সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে ওই টাকা সেখানে জমা পড়বে। যদি গ্রাহকের তা না থাকে, তাহলে তাঁকে সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। সুদের টাকাও জমা পড়বে সেখানে। আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে যাতে এই নির্দেশ কার্যকর হয়, তার জন্য আঞ্চলিক স্তরে নির্দেশ পাঠিয়েছে দিল্লি। এদিকে এসবি অ্যাকাউন্ট খুলতে আধার কার্ড আনার জন্য পোস্ট অফিসগুলির তরফে চাপ বাড়তে থাকায় সমস্যায় পড়তে চলেছে গ্রাহকদের একাংশ।
এনএসসি বা রেকারিং ডিপোজিটের মতো যাবতীয় স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে সাধারণ মানুষ যে টাকা জমা জমান, মেয়াদ শেষ হলে সেই টাকা তাঁরা চেকের মাধ্যমে পেয়ে থাকেন। গত কয়েক মাস ধরেই শোনা যাচ্ছিল, ওই টাকা আর চেকের মাধ্যমে দেওয়া হবে না। তা জমা পড়বে পোস্ট অফিসের এসবি অ্যাকাউন্টে। পোস্ট অফিসগুলি এই বিষয়ে এজেন্টদের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করে। এজেন্টরাও গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়ে চাপ বাড়াতে থাকেন। কিন্তু সরকারিভাবে এই বিষয়ে কোনও কড়া নির্দেশ জারি হয়নি এতদিন। তাই এখনও যদি কোনও গ্রাহক চান, তাহলে তাঁর মেয়াদ উত্তীর্ণ টাকা তিনি চেকের মাধ্যমে তুলতে পারেন। কিন্তু যোগাযোগ মন্ত্রকের তরফে দেশের সবক’টি পোস্টাল সার্কেলকে লিখিতভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সঞ্চয় প্রকল্পের টাকা চেকে পেমেন্ট করার দিন শেষ। আগামী মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত সেই সুযোগ দেওয়া যাবে গ্রাহককে। তারপর আর নয়। কোর ব্যাঙ্কিং সুবিধা থাকুক বা না থাকুক, সব পোস্ট অফিসকেই এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। তারজন্য পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে।
এদিকে এজেন্টরা অভিযোগ করছেন, এসবি অ্যাকাউন্ট খুলতে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করেছে পোস্ট অফিস। শহর বা মফস্সলের নানা পোস্ট অফিসে গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সার্কুলার দিয়ে জানানো হয়েছে, সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক। সেক্ষেত্রে আশঙ্কা, যাঁদের আধার কার্ড নেই বা থাকলেও, তাতে হরেক ভুল থেকে গিয়েছে, তাঁরা বেকায়দায় পড়বেন। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডাক বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, এখন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আধার সংযুক্তি বাধ্যতামূলক। শুক্রবারের এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেই সময়সীমা বাড়ালেও, তাঁদের কাছে যে নির্দেশ রয়ে গিয়েছে, তাতে সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর। যেহেতু তা বাধ্যতামূলক, তাই তাঁরাও গ্রাহককে আধার দিয়েই এসবি অ্যাকাউন্ট খুলতে বলছেন। বহু গ্রাহকও অভিযোগ করছেন, পোস্ট অফিস স্পষ্ট করে বলছে, আধার কার্ড না থাকলে এসবি অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না। সমস্যার সমাধান কীভাবে হবে, এই বিষয়ে অবশ্য পোস্ট অফিসের তরফে সরকারিভাবে কোনও স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়নি।
তবে গ্রাহকের সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা বাধ্যতামূলক করাকে খুব ভালোভাবে নিচ্ছেন না পোস্টাল এজেন্টরা। তাঁরা গত কয়েক বছর ধরেই সুদ কমানো সহ নানা ইস্যুতে সরব হয়েছেন। ধাপে ধাপে এজেন্ট কমিশন কমানোয়, তা নিয়েও তাঁদের অভিযোগ রয়েছে। এই পদক্ষেপ যে তাঁদের আরও ক্ষতি করবে, জানিয়েছেন তাঁরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিংস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাস বলেন, ফের একটি গ্রাহক বিরোধী সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। টাকা তুলতে যদি এত জটিলতার জায়গা তৈরি হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কেন পোস্ট অফিসের উপর আস্থা রাখবেন। আসলে এসবই স্মল সেভিংসকে পঙ্গু করার ছক, অভিযোগ নির্মলবাবুদের।
এনএসসি বা রেকারিং ডিপোজিটের মতো যাবতীয় স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে সাধারণ মানুষ যে টাকা জমা জমান, মেয়াদ শেষ হলে সেই টাকা তাঁরা চেকের মাধ্যমে পেয়ে থাকেন। গত কয়েক মাস ধরেই শোনা যাচ্ছিল, ওই টাকা আর চেকের মাধ্যমে দেওয়া হবে না। তা জমা পড়বে পোস্ট অফিসের এসবি অ্যাকাউন্টে। পোস্ট অফিসগুলি এই বিষয়ে এজেন্টদের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করে। এজেন্টরাও গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়ে চাপ বাড়াতে থাকেন। কিন্তু সরকারিভাবে এই বিষয়ে কোনও কড়া নির্দেশ জারি হয়নি এতদিন। তাই এখনও যদি কোনও গ্রাহক চান, তাহলে তাঁর মেয়াদ উত্তীর্ণ টাকা তিনি চেকের মাধ্যমে তুলতে পারেন। কিন্তু যোগাযোগ মন্ত্রকের তরফে দেশের সবক’টি পোস্টাল সার্কেলকে লিখিতভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সঞ্চয় প্রকল্পের টাকা চেকে পেমেন্ট করার দিন শেষ। আগামী মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত সেই সুযোগ দেওয়া যাবে গ্রাহককে। তারপর আর নয়। কোর ব্যাঙ্কিং সুবিধা থাকুক বা না থাকুক, সব পোস্ট অফিসকেই এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। তারজন্য পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে।
এদিকে এজেন্টরা অভিযোগ করছেন, এসবি অ্যাকাউন্ট খুলতে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করেছে পোস্ট অফিস। শহর বা মফস্সলের নানা পোস্ট অফিসে গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সার্কুলার দিয়ে জানানো হয়েছে, সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক। সেক্ষেত্রে আশঙ্কা, যাঁদের আধার কার্ড নেই বা থাকলেও, তাতে হরেক ভুল থেকে গিয়েছে, তাঁরা বেকায়দায় পড়বেন। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডাক বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, এখন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আধার সংযুক্তি বাধ্যতামূলক। শুক্রবারের এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেই সময়সীমা বাড়ালেও, তাঁদের কাছে যে নির্দেশ রয়ে গিয়েছে, তাতে সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর। যেহেতু তা বাধ্যতামূলক, তাই তাঁরাও গ্রাহককে আধার দিয়েই এসবি অ্যাকাউন্ট খুলতে বলছেন। বহু গ্রাহকও অভিযোগ করছেন, পোস্ট অফিস স্পষ্ট করে বলছে, আধার কার্ড না থাকলে এসবি অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না। সমস্যার সমাধান কীভাবে হবে, এই বিষয়ে অবশ্য পোস্ট অফিসের তরফে সরকারিভাবে কোনও স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়নি।
তবে গ্রাহকের সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা বাধ্যতামূলক করাকে খুব ভালোভাবে নিচ্ছেন না পোস্টাল এজেন্টরা। তাঁরা গত কয়েক বছর ধরেই সুদ কমানো সহ নানা ইস্যুতে সরব হয়েছেন। ধাপে ধাপে এজেন্ট কমিশন কমানোয়, তা নিয়েও তাঁদের অভিযোগ রয়েছে। এই পদক্ষেপ যে তাঁদের আরও ক্ষতি করবে, জানিয়েছেন তাঁরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিংস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাস বলেন, ফের একটি গ্রাহক বিরোধী সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। টাকা তুলতে যদি এত জটিলতার জায়গা তৈরি হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কেন পোস্ট অফিসের উপর আস্থা রাখবেন। আসলে এসবই স্মল সেভিংসকে পঙ্গু করার ছক, অভিযোগ নির্মলবাবুদের।
Post a Comment